ঢামেক প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় দুই ভাই সোহেল মিয়া (২০) ও ইসমাইল (১১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে ইসমাইল ও সকাল ৯টার দিকে সোহেল মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে মারা যায়।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে দুজন মারা গেছে। এদের মধ্যে সোহেলের ৭০ শতাংশ ও ইসমাইলের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে বাবুল ৬৬ শতাংশ, তাসলিমা ৬৩ শতাংশ, সেলি বেগম ৩০ শতাংশ ও মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছে। তবে তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
এর আগে শুক্রবার ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ১১টার দিকে রূপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এতে দগ্ধ হয় মো. বাবুল মিয়া (৪০), তাঁর স্ত্রী সেলি বেগম (৩৫) ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২০), মো. ইসমাইল হোসেন (১১) মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি খাতুন (১৮)।
দগ্ধ বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসায় নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। বাবুল রাজমিস্ত্রি। স্ত্রী সেলি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহিণী।