হোম > সারা দেশ > ঢাকা

লিবিয়ায় নিয়ে বাংলাদেশিকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ৩ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভালো কাজ, বেতন ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে রোমেলকে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া নিয়ে যায় একটি চক্র। তিন থেকে চার লাখ টাকায় ভ্রমণ ভিসায় লিবিয়া নেওয়ার পরে তাঁরাই আবার রোমেলকে জিম্মি করে। তারপর মুক্তিপণ হিসাবে দাবি করা হয় ১২ লাখ টাকা। এই টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন ও মারধর।

ভুক্তভোগী রোমেলের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি এই চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন চক্রের মূল হোতা সোহেল, ওয়াসিম হোসেন ও আকাছির মিয়া। 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআই হেডকোয়ার্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নরসিংদী জেলা পিবিআইয়ের ইউনিট ইনচার্জ অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত মান্নান। 

নরসিংদী পিবিআইয়ের ইউনিট ইনচার্জ অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত মান্নান বলেন, ‘গত রমজানে চার লাখ টাকার বিনিময়ে রোমেলকে একটি কার্পেট কোম্পানি চাকরি দেওয়ার কথা বলে লিবিয়া নিয়ে যায়। ভ্রমণ ভিসায় তাকে প্রথমে দুবাই তারপর মিসর হয়ে লিবিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছানোর পরে তাকে অপহরণ ও জিম্মি করে ১২ লাখ টাকা দাবি করা হয় পরিবারের কাছে। যারা তাকে লিবিয়া নিয়ে গিয়েছে এবং জিম্মি করেছে তারা সবাই বাংলাদেশি। দেশীয় এই চক্রটি দুই দেশেই সক্রিয়। কাজ দেওয়ার কথা বলে লিবিয়া নেয় এবং সেখানে নেওয়ার পরে জিম্মি করে।’

পুরো চক্রটিতে কাজ করে বাংলাদেশের নরসিংদীর রায়পুরা, কিশোরগঞ্জ, ঢাকার নবাবগঞ্জ ও সিলেট এলাকার লোকজন। এই চক্রের সদস্যরা তিন ধাপে কাজ করে। 

গ্রেপ্তার সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন দেশে লোক খুঁজে লিবিয়ায় পাঠানোর জন্য। কয়েকজন থাকেন লিবিয়ায়, যারা জিম্মি ও নির্যাতন করে টাকা আদায় করে। আর কিছু লোক বাংলাদেশের থেকে বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা গ্রহণ করে। তাদের মধ্যে মূল হোতা সোহেল দুই দেশেই থাকেন প্রয়োজন অনুযায়ী। যাকে পালানোর সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে। আর বাকি দুজন মূলত মোবাইলে টাকা গ্রহণকারী। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বরের সূত্র ধরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’ 

রোমেলকে লিবিয়া নিয়ে যাওয়া মধ্যস্থতাকারী রহমত উল্লাহ, মো. বিল্লাল মিয়া, ফাতেমা, ছানাউল্লাহসহ আরও সাত থেকে আটজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী রোমেলের বক্তব্য অনুযায়ী লিবিয়ায় যারা জিম্মি ও নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত তারা হলেন, দেলোয়ার, আরিফ, রুহুল, তানভীর, সাইফুল, আবুল ও হৃদয় খান।

রোমেল বলেন, ‘আমাকে জিম্মি করেই প্রচুর মারধর করা হয় টাকা নেওয়ার জন্য। তারা পাইপ দিয়ে মারত। প্লাস দিয়ে হাতের নখ টেনে তুলত। ওদের অত্যাচার দেখে আমি কোনো দিনই ভাবতে পারিনি দেশে ফিরে আসব।’

মো. এনায়েত মান্নান আরও বলেন, ‘লিবিয়া থেকে বারবার বলা হচ্ছিল কোনোভাবে যেন পুলিশকে বলা না হয়। তাহলে রোমেলকে মেরে ফেলা হবে। এ জন্য ওদের আস্থা অর্জনের জন্য দেড় লাখ পাঠানো হয় তাদের দেওয়া ১২টি বিকাশ ও একটি ব্যাংক হিসাবে। তারপর সোহেলকে গ্রেপ্তার করে তার মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে লিবিয়ার জিম্মি দশা থেকে রোমেলকে উদ্ধার করা হয়। এই চক্রের অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন