ঢামেক প্রতিনিধি
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘মেরিন কোর্টে সর্বোচ্চ সাজা ৫ বছর। আইনের দ্বারা আমরা আটকে আছি, এই জায়গাটাতে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আমরা কাজ করছি। আমরা যারা অথরিটি আছি, আমাদের দুর্বলতা আছে। মালিকসহ যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন, তাঁদেরও দুর্বলতা আছে। এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ।’
আজ সোমবার সকালে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে দগ্ধদের দেখতে এসে দোষীদের বিচারের ব্যাপারে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার হচ্ছে না, এই কথা সঠিক না। বিচার হচ্ছে। আমাদের তো আইন দিয়ে চলতে হয়। মেরিন কোর্টে যেভাবে আছে, সেভাবেই কিন্তু বিচারটা হচ্ছে এবং অনেক মামলা চলমান আছে। এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেটা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘ধীরে ধীরে কিন্তু দুর্ঘটনা কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে আগুনে পুড়ে যাওয়া জলযান এটাই প্রথম। এভাবে কখনো পুড়ে নাই বা পুড়ে যাওয়ার কথা না। আমাদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোগীরা আছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি, ঘটনাস্থলে গিয়েছি, আমাদের একটা ধারণা হয়েছে। রিপোর্ট আসলেই আমরা জানতে পারব এটার মূল কারণটা কী?’
লঞ্চমালিকদের কাছে নৌ-প্রশাসন জিম্মি কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা দীর্ঘদিনের প্র্যাকটিস। এটা ওভার নাইট ক্লিয়ার করা যাবে না। আমাদের বোধের অভাব আছে। আমরা একা ভালো থাকতে চাই। কিন্তু একা ভালো থাকা যাবে না। সম্মিলিতভাবে ভালো থাকতে হবে। আর অভিযান চলমান আছে, বন্ধ হবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই যাত্রীবান্ধব ও নিরাপদ সেবা দিতে হবে। যারা সেবা দিতে পারবে না, তারা এই সেক্টরে থাকতে পারবে না। যে আইন আছে, সে আইনে চলছি। এখন আইনটাকে রিনিউ করতে কার্যক্রম চলছে।’