আন্দোলনরত শিক্ষকেরা স্বাধীনতাবিরোধী নয়, স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি। তাই বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে জাতীয়করণের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকেরা।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা ১২ দিন ধরে চলা অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ কথা বলেন শিক্ষকেরা।
আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বলেন, কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, এখানে যে শিক্ষকেরা আন্দোলনে নেমেছেন, তারা নাকি স্বাধীনতাবিরোধী। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে লাভ হবে না। এখানে অনেক শিক্ষক আছেন, যাঁরা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। এখানে যে শিক্ষকেরা আছেন, তাঁরা স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর সুযোগ নেই। এ ধরনের কথা বলে জাতীয়করণের যৌক্তিক দাবিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, সেই সুযোগ দেওয়াও হবে না। তাই জাতীয়করণের এই যৌক্তিক দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।
আজকের অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুর রহমান মিয়াসহ শিক্ষক নেতারা।
এদিকে, গত বুধবার জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব নয়। ওই বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নিয়ে দুটি কমিটি গঠন, মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করে শীতের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠদান ও মূল্যায়ন শেষ করারও নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
অন্যদিকে, জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে প্রেসক্লাবের সামনের এক পাশের রাস্তা শিক্ষকদের ভিড়ে আজও সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে।