হোম > সারা দেশ > ঢাকা

জাতীয় ও ইউপি নির্বাচন একইদিনে করা হবে: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কেন্দ্রের বুথ দখল রুখতে জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একইদিনে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আয়োজনের কথা ভাবছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। আজ বুধবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা রয়েছে একইদিনে ইউপি আর জাতীয় নির্বাচন হবে। তাহলে বুথ দখলটা আর সহজ হবে না। তখন মেম্বার প্রার্থীরা ওয়ার্ড ভিত্তিক পাহারা দেবে। তাহলে কেন্দ্রীয়ভাবে আর কেউ বুথ দখল করতে পারবে না। এ বিষয়ে আমরা সুপারিশ করব।

এর আগে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় নির্বাচন পদ্ধতি, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মতামত নেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় গণতন্ত্র চর্চার বিষয়ে ইউপি নির্বাচনী ব্যবস্থা ও এর কাঠামো পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন সংস্কার কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা আছে, ইউনিয়ন পরিষদে এখন যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় তাতে রাজনৈতিক প্রভাব বেশি থাকে। আর এটা যদি আমরা অনেক ওয়ার্ডে করে দেই, মেম্বাররা চেয়ারম্যানকে ঠিক করবে। এটা আমার ব্যক্তিগত চিন্তা এবং আমার কমিটির সবার সঙ্গে কথা বলেছি, তারাও এটার কথা বলেছে। এটা যদি আমরা করে দেই তাহলে ওখান থেকেই গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হবে। কেউ আর দখল করে বসে থাকতে পারবে না।

সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সপ্তাহে একদিন জেলা প্রশাসকদের সময় বেঁধে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সেদিন জেলা প্রশাসকেরা অন্য কোনো কাজ করবে না, সেদিন শুধু সাধারণ মানুষের কথা শুনবেন।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জনপ্রশাসনে লোকবল কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হবে বলে সংস্কার কমিশন জানান। তিনি বলেন, প্রশাসনে অনেক লোক নিয়োগ করা হয়। এত লোক সরকারের দরকার নেই। আরও অনেক কম লোক দিয়ে সরকার চলতে পারে। এটা বন্ধ করার ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে। কিন্তু পুলিশের সংখ্যা বেশি দরকার, কারণ আইনশৃঙ্খলা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। সেখানে পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। গত সরকার যেভাবে করেছে সেভাবে নয়।

আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ফরিদপুরকে বিভাগ করার চিন্তা রয়েছে। ফরিদপুর বিভাগ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা করা হয়নি। কারণ, আগের সরকার প্রধানের ইচ্ছা ছিল গোপালগঞ্জকে বিভাগ করা। সেটাতো সম্ভব না। আমরা ঠিক করেছি, ফরিদপুরকেই আলাদাভাবে বিভাগ করব।

এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশাসন ক্যাডারের জন্য কোটা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক

স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর অপ্রশস্ত সেতুতে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল, ভোগান্তি

আমদানির পর চুরি হওয়া অর্ধকোটি টাকার জিনসের কাপড় উদ্ধার

কবি নজরুলের নাতির চিকিৎসায় বার্ন ইনস্টিটিউটে মেডিকেল বোর্ড

নগরকান্দায় ঢাল-সড়কি নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ২০

শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন এলিফ্যান্ট রোডের হামলায় জড়িত নন, মায়ের দাবি

রাজধানীর হাজারীবাগে ইডেন কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কবি নজরুলের নাতি বাবুল কাজী অগ্নিদগ্ধ, অবস্থা আশঙ্কাজনক

ছবিতে হারানো দিনের ঢাকা

বিয়ে করলেন সোহেল তাজ

সেকশন