মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে ২ হাজার ৩৮টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে।
কয়েকজন মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী জানান, মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ঘাটে এসেছি। রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে। মোটরসাইকেল ছাড়া উপায় নেই।
বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম বলেন, গত রাতে যাত্রীর ভিড় থাকায় বাসের চেয়ে যাত্রী পারাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাট দিয়ে ২ হাজার ৩৮টি মোটরসাইকেল, বড় বাস ৭৫৯টি, ট্রাক ৭২৯টি, ছোট গাড়ি ২ হাজার ৩২৬ টিসহ মোট ৫ হাজার ৮৫২টি যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। আজ ২০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
ঘাটের চা-দোকানি সাইদুল জানান, গত রাতে ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপার হয়েছে বেশি। দিনের বেলায় কম হলেও সন্ধ্যার পর থেকে হাজার হাজার যাত্রী মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে।
এদিকে লঞ্চে যাত্রীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। লোকাল পরিবহনে (কাটা গাড়ি) যাত্রীরা ঘাটে এসে লঞ্চ ও ফেরি দিয়ে পারাপার হচ্ছে। লোকাল পরিবহনে ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা সেলফি পরিবহন, যাত্রীসেবা পরিবহন ও ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ছেড়ে আসা নীলাচল পরিবহনে আসা যাত্রীর চাপ ঘাট এলাকায় বেড়েছে। এ ছাড়া গাজীপুর ও সাভার থেকে লোকাল পরিবহন রিজার্ভ করেও ঘাট এলাকায় আসছে যাত্রীরা।
লঞ্চঘাটের পরিচালক পান্না লাল নন্দী বলেন, সকাল থেকে লঞ্চে যাত্রীর চাপ রয়েছে। পাটুরিয়া ঘাটে ২২টি এবং আরিচা ঘাট থেকে ১১টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।