আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানার ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায়ের স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সোহেল রানার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই বিচারককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেইসঙ্গে তাঁকে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে রায়ের তিন ঘণ্টার মাথায় সোহেল রানার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিলের শর্তে তাকে ৩০ দিনের জামিনও দেন একই বেঞ্চ। এ ছাড়া ওই দিনই সাজা স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
জানা গেছে, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটির কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে আসামিরা আবেদন করলে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। তবে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা মামলার বিচার কাজ পরিচালনা করেন।
উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করায় আসামি মামুন চৌধুরী বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিচারক সোহেল রানাকে তলব করেন। ২১ আগস্ট তিনি হাইকোর্টে হাজিরও হন এবং পরবর্তীতে জবাব দাখিল ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তাঁর ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট তাকে কারাদণ্ডের রায় দেন। বর্তমানে তিনি আইন মন্ত্রণালয় সংযুক্ত। তিনি অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা।