ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সে সময় মাঝ নদীতে চারটি ফেরি আটকা পড়ে। রাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় বাড়তে থাকে যানবাহনের সারি।
আটকে পড়া ফেরিগুলো হলো শাহ পরাণ, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, শাহ মকদুম ও হাসনাহেনা।
আজ রোববার সকাল ৭টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াশায় ফেরিঘাটের চারপাশ ঢেকে রয়েছে। ৫০ ফুট দূরের কিছুই চোখে পড়ছে না। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার এলাকায় দুই লাইনে যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সারি। তীব্র শীতে সারা রাত আটকে থাকায় প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
ঝিনাইদহ থেকে আসা আরেক ট্রাকচালক মোতালেব বলেন, ‘কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ থাকায় রাত ১১টা থেকে আটকে আছি। ফেরি চলাচল করলে এতক্ষণে ঢাকায় গিয়ে ঘুমাতে পারতাম। সারা রাত শীতে কষ্ট করে গাড়িতে কাটিয়ে দিলাম।’
রায়হান নামে এক যাত্রী বলেন, ‘সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফেরিতে ফগ লাইট লাগিয়েছিল, যেন কুয়াশার মধ্যেও ফেরি চলাচল করতে পারে। অথচ সেই লাইট আজ পর্যন্ত কোনো কাজে আসেনি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আলিম দাঈয়ান বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াশায় নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
আলিম দাঈয়ান আরও বলেন, ‘ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর জানতে পারি কুয়াশার কারণে পথ হারিয়ে মাঝ নদীতে চারটি ফেরি আটকে আছে।’