আর কিছুদিন পর ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শিকড়ের টানে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে শহরের মানুষ। ঈদের ছুটির সময় পথে যানজট, ভোগান্তি এড়াতে অনেকে আগেভাগে বাড়িতে ফিরছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চাকরিজীবীরা তাঁদের পরিবারের বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের ঈদের ৮-৯ দিন আগে গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগের তুলনায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি দেখা যায়। জেলার শিমরাইল মোড় এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতেও ঘরমুখী মানুষের ভিড় ছিল।
এদিকে পুলিশ বলছে, ঈদকে কেন্দ্র করে এবার যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হবে না। মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
বিকেলে শিমরাইল মোড় এলাকার বাস কাউন্টারের সামনে যাত্রীদের সঙ্গে আসা শাহা আলম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। শাহা আলম বলেন, ‘ঈদের আগমুহূর্তে বাসে যাত্রীদের অনেক চাপ থাকে। সড়কে যানজট তো থাকেই। বাসের টিকিটও পাওয়া যায় না। পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে যাওয়াটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। তাই এই ভোগান্তি এড়াতে পরিবারের সবাইকে এখন পাঠিয়ে দিচ্ছি। ঈদের ছুটি শুরু হলে আমি ধীরেসুস্থে বাড়িতে চলে যাব।’
এ সময় আনোয়ার মিয়া নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি সব সময় বাড়িতে যাই ঈদের দিন সকালে। কারণ, চাঁদরাতে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান করতে হয়। তাই যানজট এড়াতে পরিবারকে আগে পাঠিয়ে দিই। এবার বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে অনেক দিন হয়েছে। তাই এখন পরিবারের সব সদস্যকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তারা গ্রামের সবার সঙ্গে রমজান পালন করতে পারল, আবার ঈদ করতে পারল।’
বাসচালক খসরু বলেন, ‘মানুষ এখন বাড়ি যাওয়া শুরু করেছে। যাত্রীর চাপও আছে অনেক। তবে কোথাও কোনো যানজট নেই।’
নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছি। পুলিশের টহল দল বাড়ানো হয়েছে। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে আমাদের প্রায় ৬০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। নারায়ণগঞ্জ অংশে মানুষকে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।’