বিশেষ ক্ষমতা আইনে মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বাসস্ট্যান্ড পৌর সুপার মার্কেটের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই রাতে গ্রেপ্তার আসামি শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার শহীদ তিতুমীর স্কুলের পাশে বিভিন্ন ব্যক্তিকে নিয়ে একটি গোপন বৈঠক করেন। বৈঠকে বিদ্যুৎ অফিসে হামলা, জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার লক্ষ্যে ও নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চেষ্টার পরিকল্পনা করা হয়।
এমন অভিযোগে পরের দিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পৌর সুপার মার্কেটের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা যুবদলের সদস্যসচিব তুহিনুর রহমান তুহিন বলেন, ‘এ মামলায় চারজন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছিল। সেই সময়ের এজাহারে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক যুবদল নেতা মোস্তাক হোসেনের নাম উল্লেখ ছিল না।
আজ শুক্রবার ঢাকায় গণ সমাবেশকে বিঘ্নিত করতে এবং যুবদলের নেতা কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করাসহ মনোবল দুর্বল করতে গায়েবি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কাজী মোস্তাক হোসেন দিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, ‘এজাহারে নাম না থাকলেও পরবর্তীতে তদন্তে মোস্তাক হোসেন দিপুর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ দুপুরে আদালতে আসামিকে হাজির করলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’ ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান তিনি।