হোম > সারা দেশ > ঢাকা

শিশুদের কাছে ১৪ ডিসেম্বর রাতের স্মৃতিচারণা করলেন শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তানেরা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তানেরা শিশুদের সামনে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা তুলে ধরেন। 

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন শহীদ বুদ্ধিজীবী সিরাজুদ্দিনের সন্তান জাহিদ রেজা নূর এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের সন্তান শমী কায়সার। 

অনুষ্ঠানে শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান জাহিদ রেজা নূর বলেন, ‘পঁচিশের কালরাতে পাকিস্তানিরা যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সেটাকে শুধু গণহত্যা বলা যায় না সেটা হচ্ছে ‘‘জেনোসাইড’’। তারা ধরে ধরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। যাতে করে এই জাতি আর কখনো দাঁড়াতে না পারে। ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় আল বদরদের সঙ্গে নিয়ে রুমে ঢোকে পাকিস্তানিরা। এরপর চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে নেন আমার বাবাকে। এরপর একে একে সব সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে যায়। এরপর ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুলে নিয়ে যায়।’ 

বাংলার মাটিতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিচার হবে, এই কথা কোনো দিন কল্পনাও করা যায়নি বলে মন্তব্য করেন শহীদ বুদ্ধিজীবী শহিদুল্লাহ কায়সারের সন্তান, অভিনেত্রী শমী কায়সার। 

শমী কায়সার বলেন, ‘২০২৩–এর বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য একরকম আর ২০–৩০ বছর আগের দিবসের তাৎপর্য অন্যরকম। তখন বুদ্ধিজীবী দিবস বলতে ছিল শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা। আমরা কখনো কল্পনাও করিনি এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিচার হবে। বাংলাদেশের মাটিতে আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। আর এই অসম্ভব, সম্ভব হয়েছে কারণ একজন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা আছেন। আজকের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য অন্যরকম।’ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। 

বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের দুদিন আগে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার, স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের দোসররা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বিজয়ের মাসে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বজ্র কঠিন শপথ নিতে হবে। যেকোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে দেশবিরোধী অপতৎপরতাকারীদের বিষ দাঁত ভেঙে দিতে হবে। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, হানাদারবাহিনী দেশকে মেধা শূন্য করতে তালিকা করে দেশের সূর্য সন্তানদের হত্যা করে। যার ফলে জাতি তাঁর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারায়। 

স্মৃতিচারণ, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কেয়া খান, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। 

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উ বইমেলার উদ্বোধন করেন। আলোচনা পর্ব শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।

দিপু চন্দ্র দাস ও শিশু আয়েশা হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় শ্রমিক শক্তি বিক্ষোভ সমাবেশ

আহমদ ছফার নামে রাস্তার নামকরণ করল ডিএনসিসি

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির নেতার ঘরে আগুন: আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মেয়েকে দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে রিজভী

হাদি হত্যা: মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার সেই হান্নানের জামিন

টাঙ্গাইল-৭: মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দুই ভাই

উদীচীতে হামলা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালকে পালাতে সাহায্যকারী দুজন ফের রিমান্ডে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দুই কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সরকারি সহায়তা নয়, গণচাঁদাতেই কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংস্কার করবে উদীচী

রাজধানীর হাতিরঝিলে দুই শিশুর মৃত্যু ও মা-বাবার অসুস্থতা ঘিরে রহস্য