গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকায় মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশার চালককে মারধর করার পর অটোচালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ আজ রোববার দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত অটোচালকের নাম মাসুদ রানা (৩৫)। তিনি ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার আলামপুর এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকায় জাকির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আশিক হোসেন বাবু (২৩) ও আরাফাত হোসেন রাহাত (১৬)। তাঁদের বাড়ী মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ বাঘিয়া এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অটোচালক মাসুদ রানা যাত্রী নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থেকে নাছের মার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পরে নাছের মার্কেট পৌঁছার আগে নাছের মার্কেট মোড়ে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মাসুদের অটোরিকশাটির ধাক্কা লাগে। পরে এ নিয়ে মোটরসাইকেলের চালকসহ দুজন আরোহীর সঙ্গে অটোচালক মাসুদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী অটোচালক মাসুদকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে মারাত্মকভাবে জখম করেন। পরে স্থানীয়রা অটোচালক মাসুদকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুদ রানাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা-পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি আশিক হোসেন বাবুকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরাফাত হোসেন রাহাত নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।