দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীতে দুটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে শুকুমার হালদার (৬৫) নামের একজনের মৃত্যুর হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শুকুমার ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার গাহু লক্ষ্মীপুর এলাকার শিরিশ হালদারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, গত শনিবার বিকেলে দোহার উপজেলার নূরুল্লাহপুরের ঐতিহ্যবাহী মেলা দেখতে আসেন নিহত শুকুমার হালদারসহ আরও অনেকে। তারা সকলেই সারা রাত মেলা উপভোগ করে পরের দিন রোববার আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মৈয়নটঘাট থেকে স্পিডবোটে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে দোহার ও ফরিদপুরের সীমান্ত এলাকা ঝাউকান্দায় পৌঁছায়। সেখানে ঘন কুয়াশায় ঘেরা থাকায় অপরদিকে থেকে আসা একটি স্পিডবোটের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় স্পিডবোট দুটি উল্টে গিয়ে সবাই পানিতে ডুবে যায়। পরে পাশেই থাকা অপর একটি স্পিডবোট ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মো. মতিউর রহমান ও শুকুর হালদারকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুকুর হালদারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মো. মতিউর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।
স্পিডবোটের যাত্রী কবির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নূরুল্লাপুরের মেলা দেখতে এসেছিলাম। বাড়িতে ফেরার পথে পদ্মা নদীতে ঘন কুয়াশা থাকায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। এমন সময় অপরদিক থেকে আসা একটি স্পিডবোটের সাথে ধাক্কা লেগে বোট উল্টে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে।’
এ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দোহার থানা আওতাধীন কুতুবপুরের নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবাইকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন।
দোহার থানার কুতুবপুরের নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কুতুবপুরের নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে প্রায় ১৫ জন লোক ছিল। তাদের সবাইকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে মো. মতিউর রহমান ও শুকুমার হালদারকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শুকুর হালদারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং আহত মো. মতিউর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।’