নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গার্মেন্টস ব্যবসায় ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে বিল পরিশোধ না করায় প্রতারণার অভিযোগে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ ছয়জনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ এ সমন জারি করেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত সমন জারির এ আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন অনন্ত জলিলের স্ত্রী ও তাঁর মালিকানাধীন পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাহানারা বেগম (কোম্পানির নিবন্ধিত তথ্য অনুযায়ী), কোম্পানিতে বিভিন্ন পদে কর্মরত মো. শরীফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মো. মিলন ও সাইদুল ইসলাম।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. রাফিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এক বছর আগে ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার আদালতে দায়ের করা হয় এই মামলা। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বাদীর অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।
শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সম্প্রতি এ মামলায় অনন্তসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পণ্ডিত। সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে বাদীর কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর বাদী কাজ শুরু করে কাজের বিপরীতে প্রতিশ্রুত টাকা চাইলে আসামিরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তী সময় তাঁরা আরও বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। ওই বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। এরপর ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে আসামিরা বাদীর একটি এলসি করেন। পরে বাদী টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা তুলতে ব্যর্থ হন।
আরজিতে আরও বলা হয়, বাদী চুক্তি অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি। অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৩০০ ডলার।