নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলে মাজহারুল ইসলাম সজীবের বিরুদ্ধে (৩০)। গতকাল রোববার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জহরপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত আয়েশা বেগম (৫০) এই এলাকার মোহাম্মদ রফিকের স্ত্রী। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন মাজহারুল ইসলাম।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ২টার দিকে ঘরের ভেতর চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরা ধারণা করেন সজীব পাগলামি করছেন। আড়াইটার দিকে আয়েশা বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। তখন আশেপাশের মানুষ এসে দরজায় ধাক্কা দিলে সজীব পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। তাঁরা আয়েশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিকে গতকাল সোমবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহতের মামাতো ভাই জোবায়ের বলেন, ‘সজীব ছোট থেকে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। নিয়মিত তাকে চিকিৎসা করান হতো। বড় হওয়ার পর প্রায়ই টাকার জন্য বাসায় ঝগড়া করত সে। সাত বছর আগে তার বাবা রফিকের সঙ্গে মা আয়েশার ডিভোর্স হয়। এরপর থেকে আয়েশা বাবার বাড়িতেই থাকতেন। দুই বছর আগে সজীবকে বিয়ে দেওয়া হয়। দুই মাসও বিয়ে থাকেনি। বছরে দুই থেকে তিন বার এমন অসুস্থতা বেড়ে যেত সজীবের।’
বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণ পোদ্দার বলেন, নিহতের গলা, হাত এবং পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের মা সেলিনা বাদী হয়ে নাতির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।