রাজধানীর কলাবাগান থানার লেক সার্কাস ডলফিন গলি এলাকায় একটি বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় গ্রিলকাটা চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, চক্রটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সবজি-ফলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির আড়ালে রেকি করে বেড়াত আর ফাঁকা বাসা টার্গেট করত। পরে রাতে টার্গেটকৃত বাসায় গ্রিল কেটে চুরি করত।
পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মো. সোহেল (৪০), মো. ফরহাদ (৩০), মো. ইলিয়াচ শেখ (৩০) ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আনোয়ার (৩৩)। গতকাল সোমবার কলাবাগান ও আদাবর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, ১১১ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, ৩ ভরি চোরাই স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির ৮৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।
ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, চলতি বছরের গত ২০ আগস্ট রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কলাবাগান থানার লেক সার্কাস ডলফিন গলির ৭০/এ বাসার দ্বিতীয় তলায় গ্রিল কেটে চোর চক্রটি ৭২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলাটি দায়ের হওয়ার পর কলাবাগান থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনারের (নিউমার্কেট জোন) নেতৃত্বে চোরাই মালামাল উদ্ধার ও চোর চক্রকে গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কলাবাগান থানা ও রাজধানীর আশপাশের পাঁচ শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চুরির ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত চোরদের শনাক্ত করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে কলাবাগান থানার ডলফিন গলি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ডিসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃদের জিজ্ঞাসাবাদে চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আনোয়ারকে আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃদের বিরুদ্ধে ডিএমপির কলাবাগান থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।