ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপের (বিডিএস) এলাকার মধ্যে থাকা জমির মালিকদের চলমান জরিপ সম্পর্কে অবহিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রায়শই দেখা যায়, জরিপ করার সময় প্রকৃত মালিক অনুপস্থিত থাকেন। তাঁদের অজান্তে জরিপ কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ভূমি ভবনে ডিজিটাল জরিপের কার্যক্রমের ইডিএলএমএস প্রকল্পের (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সংশ্লিষ্টদের তিনি এই নির্দেশ দেন। এ সময় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ, ইডিএলএমএস প্রকল্প পরিচালক জহুরুল হকসহ ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ও ইডিএলএমএস প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিডিএস জরিপ কর্মকর্তাদের স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে জরিপ বিষয়ে প্রচারের নির্দেশ দিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, জমির মালিকেরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জমি বিক্রির সময় আবিষ্কার করেন যে ভুলভাবে জরিপ করা হয়েছে। অন্য কারও নামে জমির খতিয়ান গেজেট হয়ে গেছে। বৈধ মালিকদের সম্পত্তির অধিকার পুনরুদ্ধারে বছরের পর বছর আইনি ও অর্থনৈতিক ঝামেলায় পড়তে হয়। যাতে এলাকার ও এলাকার বাইরে বসবাসকারী মানুষ জানতে পারেন, তাঁদের এলাকায় জরিপ হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় ছয়টি এলাকায় চলমান জরিপের প্রথম পর্যায়ের বিডিএস কার্যক্রম শেষ হবে। প্রথম পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় আউটপুট নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে একযোগে বিডিএস প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হবে। তবে মূল্যবান সম্পদ তথা নিজ জমির বিষয়ে মালিকদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখার পরামর্শ দেন তিনি।