নিবন্ধন না থাকায় দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস ধরে বন্ধ ছিল শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের সব ধরনের স্পিডবোট চলাচল। তবে এবার বন্ধ থাকা অনিবন্ধিত স্পিডবোট গুলো নিবন্ধন কার্যক্রম শেষে আবারও সচল হতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বিআইডাব্লিউটিএ থেকে চালকদের প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা গ্রহণ শেষে উত্তীর্ণদের মাঝে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই টায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর অফিশিয়াল কার্যালয় মাঠে প্রশিক্ষণ ও পরিক্ষাগ্রহণ শেষে ১৩৪ জন চালকের মাঝে এই যোগ্যতা সনদ ও নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও শিপ সার্ভেয়ার মো. মঞ্জুরুল কবিরের তত্ত্বাবধানে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া ঘাটের স্পিডবোট চালকেরা কর্মশালায় অংশ নিয়ে পরীক্ষা দেন। পরে উত্তীর্ণদের হাতে এসব সনদ তুলে দেওয়া হয়।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন বলেন স্পিরিট বোট চালাতে হলে প্রতিটি চালকের নিবন্ধন সনদ অবশ্যই বাধ্যতামূলক থাকতে হবে যদি কোনো চালক এই নিবন্ধনের আওতায় না আসে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে, পরবর্তীতে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে তাঁদের ভোট পরিচালনা করার অনুমতি প্রদান করা হবে। তবে এর ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
উল্লেখ, চলতি বছরের ৩ মে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট ৩১ জন যাত্রী নিয়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের দিকে যাচ্ছিল। স্পিডবোটটি পুরোনো কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছাকাছি আসার পর সেখানে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবাটটি উল্টে গিয়ে ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। এ ঘটনার পর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনিবন্ধিত স্পিডবোট ও চালকদের লাইসেন্স ছাড়া এ নৌপথে স্পিডবোট চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআইডব্লিউটিএ।