সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থী ও আনসারদের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত অন্তত ৪০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনসার সদস্যরা সচিবালয়ে উপদেষ্টা, কর্মকর্তা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা করেন। সচিবালয়ের সামনে তাঁদের সংঘর্ষ বেধে যায়।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লাহ মাহফুজ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘উপদেষ্টা নাহিদ ভাইসহ হাসনাত ও সারজিস ভাইকে সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিপথগামী কিছু আনসার সদস্য ও ছাত্রলীগের প্রেতাত্মারা। আমরা সবাই মিলে সচিবালয়ে মার্চ করে তাদের মুক্ত করে নিয়ে আসব। সবাই যোগ দিন, বিষয় সবাইকে অবগত করুন, অতীব জরুরি।’
প্রায় আধা ঘণ্টা পর্যন্ত সচিবালয় এলাকায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ জনতাও লাঠি হাতে নেমে পড়েন। ছাত্র–জনতার ধাওয়া খেয়ে সচিবালয় এলাকা ছেড়ে যান আনসার সদস্যরা। পালানোর সময় লাঠি দিয়ে আনসার সদস্যদের পিটিয়েছেন ছাত্র–জনতা। পরে সেনাবাহিনী সচিবালয় এলাকায় অবস্থান নিলে পরিবেশ শান্ত হয়।