নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মৌলভিদের মধ্যে লোভ চলে আসলে তখন ইমান আর থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (চরমোনাই) সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই বৈঠকের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম।
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, আজকে শিক্ষকদের অবস্থা কী দেখেন। শরীফ-শরীফা ইস্যুতে তদন্ত কমিটি করছে, তার অবস্থা কী দেখেন। সেখানে দেখলাম কিছু মৌলভি আছে, আবুল ফজল ফয়জীর গোষ্ঠীও আছে। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মৌলভিদের যখন লোভ চলে আসে, তখন ইমান থাকে না। তখন তারা শরীফ-শরীফার মধ্যে কোনো দোষত্রুটি দেখে না। অর্থ-ক্ষমতার লোভ চলে গেলে মানুষ দেখে এর মধ্যে কী দেওয়া হয়েছে।
মানুষের বিবর্তন হওয়াকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের এই সিনিয়র নায়েবে আমির বলেন, ‘মাদ্রাসায় বলাৎকার হয় বলে মিডিয়ায় প্রচার করে, অথচ আজকে ট্রান্সজেন্ডারের নামে গোটা জাতিকে বলাৎকারের জন্য শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। কোনো মানুষ বিবর্তন হতেই পারে, এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে মিডিয়া যেভাবে প্রচার করেছে, আজকে গোটা বাংলাদেশকে সমকামিতার পক্ষে নিয়ে আসা হচ্ছে।’
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দিন খান তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, নতুন কারিকুলামে শিল্প ও সংস্কৃতির নামে ইসলামি সংস্কৃতি মুছে ফেলা হচ্ছে। একমুখী শিক্ষার নামে মাদ্রাসা শিক্ষাকে ধ্বংস করার সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিশু, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে কোনো ধর্মীয় পরিচয় যাতে না থাকে এভাবে তাদের মস্তিষ্ককে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর আবদুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।