মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার চালা, বয়ড়া, বলড়া, হারুকান্দি, রামকৃষ্ণপুর ও ধূলসুরা ইউনিয়নে এ ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চলতি বছর হরিরামপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৩৪১ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ঝড়ে পাঁচ ইউনিয়নের ভুট্টায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা পাঁচটি ইউনিয়নের ৯২ হেক্টর জমির ভুট্টা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। এর মধ্যে আট হেক্টর জমির ভুট্টা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তালিকা প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। কোনো সহযোগিতা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেওয়া হবে।’
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বয়ড়া, চালা, রামকৃষ্ণপুর ও হারুকান্দি ইউনিয়নে ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ভুট্টা খেতের ক্ষতি হয়েছে। পাঁচ ইউনিয়নের ৯২ হেক্টর জমির ভুট্টা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ হেক্টর জমির ভুট্টা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
কৃষকেরা জানান, অনুকূল আবহাওয়া, কম খরচে অধিক ফলন, অন্য ফসলের চেয়ে পরিচর্যা খরচ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বিশেষ করে চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ও সুতালড়ি ইউনিয়নে ভুট্টা চাষ কয়েক গুণ বেড়েছে। তবে এবার কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে অনেক।
বয়ড়া ইউনিয়নের ভুট্টাচাষি মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক বিঘা ভুট্টা পুরোপুরি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। খরচের টাকাও উঠবে না।
ভুট্টাচাষি ফরমান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝড়ে পাঁচ বিঘা জমির ভুট্টা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ভুট্টা চাষে পানি দিতে অনেক খরচ, এরপর সারও দিতে হয় অনেক। লাভ দূরে থাক খরচের টাকাও উঠবে না।