পদ্মা সেতু থেকে লাফিয়ে পড়া সেই অটোরিকশাচালকের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। তীব্র স্রোতের কারণে গতকাল সোমবার বিকেলে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ডুবুরি দল অভিযান শুরু করলেও পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে সোমবার বিকেলে স্থগিত করতে বাধ্য হন ডুবুরিরা।
অভিযান স্থগিতের আগে ৫ ঘণ্টা পদ্মার তলদেশ ও নদীর ১০ কিলোমিটারজুড়ে তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ।
জানা গেছে, রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মাওয়া থেকে এক্সিট লেন দিয়ে একটি অটোরিকশা পদ্মা সেতুতে উঠে যায়। এ অবস্থায় পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে নিরাপত্তার দায়িত্বে টহলরত গাড়ি দিয়ে অটোরিকশাকে থামাতে ছুটে আসে এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের গাড়িটি। তবে অটোরিকশার গতি বেশি থাকায় দ্রুত সেতুর ২১ নম্বর পিলারের কাছে চলে আসে এবং দ্রুত গাড়ি থামিয়ে রেলিংয়ে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেন অটোরিকশার চালক।
এরপর থেকেই সে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। রাতেই খবর পেয়ে লৌহজং, শিবচর নৌ-পুলিশের টিম ও ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ শুরু করে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে ২১ ও ২২ নম্বর পিলার শনাক্ত করে লৌহজং ও ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে। কিন্তু পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে অভিযান দফায় দফায় ব্যাহত হয়। ৫ ঘণ্টার চেষ্টার পর দুপুরের পর ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ অভিযান স্থগিত ঘোষণা করেন।
লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার লিডার কায়েস আহমেদ বলেন, ‘রাত ২টা ৪৫ মিনিটে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সকালে আমাদের ও ঢাকার টিমের ডুবুরিরা ৫ ঘণ্টা অভিযান চালাই কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। আমরা নদীর ১০ কিলোমিটার তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু সন্ধান মেলেনি।’
শিবচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তীব্র স্রোতের কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।