Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

মধুপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

মধুপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ 

টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলের চানপুর রাবারবাগানের কালারপাহাড় এবং জামালপুরের রশিদপুর ইউনিয়নের সর্দার বাড়ি এলাকায় গতকাল শুক্রবার পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয় এক কিশোরী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আজ শনিবার ভোরে মধুপুর থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে সজিব মিয়া ও হাফিজুর রহমান কিশোরীকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামের মো. সজিব মিয়া (২৮), একই ইউনিয়নের কালিয়াকুড়ি (কামারতাফাল) গ্রামের হাফিজুর রহমান (৩৮), জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের মো. মামুন (২৬) ও একই ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম (৩০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরী শেরপুর শহরে চাকরির সুবাদে বসবাস করছেন। সেখানে মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের বাঘাডোবা গ্রামের নাজমুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতকাল শুক্রবার নাজমুলের সঙ্গে আলোচনা করে কিশোরী মধুপুরের ফুলবাগচালার বাঘাডোবা গ্রামে আসার কথা।

নাজমুলের চাচাতো ভাই সজিব মিয়া (২৮) কিশোরীকে জামালপুরের রশিদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা নামক স্থান থেকে নাজমুলের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ভিন্নপথে মধুপুরের চানপুর রাবারবাগানের কালাপাহাড় নামক স্থানে নিয়ে যায়।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে সজিবের সহযোগী মধুপুরের কালিয়াকুড়ি (কামারতাফাল) গ্রামের হাফিজুর রহমানকে (৩৮) সঙ্গে নিয়ে কিশোরীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করেন তাঁরা। ধর্ষণের পর সজিব ও হাফিজুর কিশোরীকে চানপুর রাবারবাগানের কালারপাহাড় থেকে একটি অটোরিকশাযোগে জামালপুর জেলার রশিদপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তা নামক স্থানে রেখে আসেন।

কিশোরী রাত সাড়ে ৮টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় রশিদপুর চৌরাস্তা থেকে জামালপুরের দিকপাইত যাওয়ার জন্য অটোস্ট্যান্ডের লাইনম্যান মামুন মিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। অটোস্ট্যান্ডের লাইনম্যান (মাস্টার) জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের ক্ষেত্রীপাড়া গ্রামের মামুন (২৬) সহযোগিতার কথা বলে কিশোরীকে রশীদপুর সর্দারপাড়ার খালপাড় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একই ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের হাফিজুল ইসলাম মিলে কিশোরীকে জোরপূর্বক খালপাড়ে ধানখেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মামুন ও হাফিজুল কিশোরীটিকে পুনরায় রশীদপুর চৌরাস্তা এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।

এদিকে নাজমুল ইসলাম তার প্রেমিকাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে শুরু করেন। নাজমুল রাত ১১টার দিকে জামালপুরের রশিদপুর চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে প্রেমিকার সন্ধান পান। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় গভীর রাতে মধুপুর থানা-পুলিশকে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে একাধিক দল ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। আজ শনিবার ভোররাতে জামালপুরের রশিদপুর ও টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে মধুপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন,  ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিশোরী সেখানেই চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

আয়োজন বেশি, ক্রেতা কম

গুলশানের একটি বাড়িতে মব তৈরি করে লুটপাট

জ্বলে না চুলা, ইফতারি তৈরিতে হিমশিম রাঁধুনি

‘পর্দা’ না করায় ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা করা কর্মচারী আটক

তরমুজ নিয়ে ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল নেতার মারামারি

ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে জখম

মা-বাবাসহ ৭ জনকে কোপালেন যুবক, একজনের মৃত্যু

স্বামীর বাইক কিনে দেওয়ার চাপে স্ত্রীর ‘আত্মহত্যা’

গুলশানে বাসা ভাঙচুর: ৩ আসামির রিমান্ড-জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে