বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল রোববার রাজধানীর একাংশে তীব্র যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ও ভারতীয় অপপ্রচারের প্রতিবাদে গতকাল বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পদযাত্রা চলাকালে রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, নতুনবাজার সড়কে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। ফলে সেখানেই পদযাত্রা থামিয়ে একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি নিয়ে হাইকমিশনের উদ্দেশে যায়। এসব কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রামপুরা-বাড্ডা রোড, বিমানবন্দর রোড, বনশ্রী, পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, হাতিরঝিলসহ আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।
বেলা ২টায় রাজধানীর পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, হাতিরঝিল এলাকায় সড়কে গাড়ির চাপ বেশি দেখা যায়। এই পথে চলাচল করা মানুষকে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেককে হেঁটে চলতে দেখা গেছে।
রামপুরায় এক পথচারী জানান, রামপুরা, মালিবাগ, মগবাজার, শান্তিনগর এলাকায় প্রতিটি রাস্তাতেই যানজট ছিল। কয়েক মিনিটের পথ বাসে আসতে লেগেছে ঘণ্টাখানেক। সকাল থেকে রাস্তা বন্ধ থাকায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বনশ্রীতে এক মোটরসাইকেল আরোহী জানান, গুলিস্তান থেকে রামপুরা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল ছিল ধীরগতি। এই পথের প্রতিটি সিগন্যালেই যানজটে পড়তে হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছে এই পথ ধরে আসতে। অন্যদিন আধা ঘণ্টায় যেখানে চলে আসা যেত।
দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা জানান, বেশ কিছু সময় রামপুরায় ব্যারিকেড ছিল। এতে রামপুরা-বাড্ডা রোডে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এর প্রভাব আশপাশের সড়কে পড়েছে। বিভিন্ন সড়কে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় যানজট তৈরি হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, রাজনৈতিক বড় কর্মসূচি থাকায় রামপুরা, বাড্ডা ও গুলশান, নতুন বাজারে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে।