গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে প্রাণ-আরএফএল ডিপো থেকে এক কর্মকর্তা মাইক্রোবাসে করে ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়িচালককে মারধর করে সব টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় গাড়িচালকসহ এক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, আজ সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানা ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর মেট্রোপলিটন থানার সীমান্তবর্তী রাজেন্দ্রপুর এলাকায়। ঘটনাস্থল দুই থানার সীমান্তবর্তী হওয়ায় ভুক্তভোগীরা এজাহার দিলেও মামলা গ্রহণ নিয়ে দুই থানা-পুলিশে রশি টানাটানি চলছে!
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সদর উপজেলার বি কে বাড়ি এলাকায় অবস্থিত গ্রুপের ডিপো থেকে হেলাল উদ্দিন নামের এক কর্মকর্তা ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে একটি নোয়া মাইক্রোবাসযোগে গাজীপুরের দিকে আসছিলেন। পথে সন্ধ্যার দিকে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দুটি প্রাইভেট কার দিয়ে মাইক্রোবাসের গতিরোধ করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে টাকাসহ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ও গাড়িচালক মজিবর রহমানকে তুলে নেওয়া হয় ছিনতাইকারীদের গাড়িতে। এরপর গাড়ি চলন্ত অবস্থায় অস্ত্রের মুখে তাঁদের জিম্মি করে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং ৫৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাঁদের গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নাওজোড় এলাকায় সড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যায় ছিনতাইকারীরা। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনাটি জয়দেবপুর থানার ওসি ও এবং সদর মেট্রো থানার ওসি উভয়েই স্বীকার করেছেন। কিন্তু ঘটনাস্থলটি দুই থানার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় মামলা নিতে তাঁদের মধ্যে ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম বলেন, ‘শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থলটি সদর মেট্রোপলিটন থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানেই এজাহার দেওয়া হয়েছে। সেখানেই মামলা ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রোপলিটন থানার ওসি আরিফুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির সেন্ট্রাল প্রোডাকশন অফিসার সাজু আহমেদ বাদী হয়ে একটি এজাহার দিয়েছেন। আমাদের দুজন অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাস্থল কোন থানা এলাকায় পড়েছে, সেটি যাচাই করে রাতেই মামলা করা হবে। ভুক্তভোগীদের তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল নির্ধারণ করে যে থানার এলাকায় পড়ে, সেই থানায় মামলা নেওয়া হবে।