২৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬৪ জনের মৃত্যু ও আনুমানিক ১৮ জন নিখোঁজের ঘটনা প্রথম বা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারি অভাব ও উদাসীনতার কারণে মানুষ এ ধরনের বেপরোয়া আচরণ করার সাহস পাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে এ ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে কম সময়ের মধ্যে আইনানুগ শাস্তি দেওয়ার দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে রোববার দুপুরে ঘটে যাওয়া নৌকাডুবির ঘটনায় ৬৪ জনের মৃত্যু হয় এবং আনুমানিক ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সামনে রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ও শিশুরা মহালয়া উপলক্ষে এক ধর্মসভার আয়োজনে অংশগ্রহণের জন্য বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরে (নদীর অপর পাড়ে) শ্যালো মেশিনচালিত একটি নৌকায় করে যাচ্ছিলেন। মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে নৌকাটি নদীর মাঝপথে উল্টে যায়। ঘটনায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ (বিশ) হাজার টাকা করে দেওয়াসহ আহতদের চিকিৎসায় যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এমএসএফ বলছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবের প্রাক্কালে এই হৃদয়বিদারক ও মর্মান্তিক ঘটনা সবার মধ্যে দুঃখ ও চরম ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন সাধারণ জনগণের যাত্রাপথে নিরাপত্তা বিধানে যে নিয়মনীতি আছে তার যথাযথ প্রয়োগে যেন আর কোনো অবহেলা না হয়, তা দেখার দায়িত্ব যাদের সেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।