মাদারীপুরে জেলা ও দায়রা জজের মাইক্রোবাস চালক মো. হাফিজুর রহমানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরাকে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন আদালত। মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ফয়সাল আল মামুন এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা জজের মাইক্রোবাস চালক হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও মারপিট করার অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার দুপুরে মামলা করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১৬ মার্চ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরাকে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মাদারীপুর সার্কিট হাউস থেকে জেলা জজের একটি মাইক্রোবাস বের হওয়ার জন্য উদ্যত হয়। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে আসা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরার প্রাইভেটকার আসে। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে চালকের আসনে বসা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা গাড়ি থেকে নেমে জেলা জজের চালককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন। এ ছাড়া চালককে দুই ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে মাদারীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাবুল আক্তার বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে একজন বিচারকের ড্রাইভারের সঙ্গে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি। এই ঘটনা কোনোভাবেই পেশাদার আচরণ হতে পারে না।’
মামলার বাদী মাদারীপুরে জেলা ও দায়রা জজের মাইক্রোবাসের চালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেছেন। তাই আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা বলেন, ‘মামলা ও সমন জারির কথা শুনেছি। নোটিশ হাতে পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে আমার সঙ্গে ওই চালক দুর্ব্যবহার করেছে। তা আমি বুধবার সকালে লিখিতভাবে জেলা ও দায়রা জজকে জানিয়েছি। কিন্তু সেই লিখিত অভিযোগ কেউ রিসিভ করেননি।’