আগামী ৩ মাস পর দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে সংকট মোকাবিলায় খাদ্য সহায়ক তহবিল গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জেএসডির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, আজকের এই অবৈধ সরকার অপশাসনের মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে ফেলেছে। এ থেকে উচ্চারণে কয়েকটি প্রস্তাব দেন এই নেতা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জ্বালানি সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ, আইনের শাসন নিশ্চিত করা, সংবিধান সংশোধনে সাংবিধানিক কমিশন গঠন করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ও ডিজিটাল আইন বাতিল করা।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে হবে, তবে নতুন করে যাতে আরেকটি স্বৈরাচারের উত্থান না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সংবিধান থেকে স্বৈরাচার হটাতে হলে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা অর্ধেক কমাতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বামপন্থীরা আন্দোলন সংগ্রাম করলেও জাতীয়তাবাদীরা তার ফসল ঘরে তুলে নিয়েছে। জাসদের এই ব্যর্থতা বাংলাদেশের মানুষের ব্যর্থতা।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবাধ ক্ষমতা দিয়ে, জবাবদিহির বাইরে রেখে যে সংবিধান ও ক্ষমতার কাঠামো তৈরি করা হয়েছে সেটাই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। দেশের ৫ থেকে ৬ কোটি নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ অবস্থার মধ্যে আছে, তারা এখন কম খাচ্ছে।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, গত ১৫ বছরে ১৫ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় অনেক আওয়ামী লীগ নেতা ডলার কিনে রেখেছেন, অবস্থা বুঝে যাতে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া যায়। বাকশালের চেয়েও পরিস্থিতি খারাপ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘হামলা, মামলা, গুম, খুনের কারণে এখন আমরা রাস্তায় পর্যন্ত নামতে পারছি না।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া হক, সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইলুক হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমসহ অন্যরা।