নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানী মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে করা মামলা এবার তদন্ত করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৮-এর বিচারক শওকত আলী নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে।
ওই ট্রাইব্যুনালের সরকারি আইনজীবী রেজাউল করিমও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলায় তাঁদের অব্যাহতির সুপারিশের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি আবেদন গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশ দেন।
৩ মার্চ মামলার বাদী ওই ছাত্রীর বাবা নারাজি আবেদন করেন। ওই দিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত আদেশের জন্য তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামি মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়নি এবং কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগও প্রমাণ হয়নি।
প্রতিবেদনে এই দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল রয়েছে।
গত বছর ১ আগস্ট ওই ছাত্রীর বাবা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এ অভিযোগ দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন।
প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলাটিতে মুশতাককে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী সহযোগিতা করেন বলে বাদী উল্লেখ করেন।
কিন্তু এই মামলা দায়েরের পর জানা যায়, মুশতাক ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। হাইকোর্টে হাজির হয়ে ওই ছাত্রী নিজে জবানবন্দি দিয়ে জানান, মুশতাককে তিনি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন।