নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ আটজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেন তাঁদের জামিন দেন।
বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ড. ইউনূস ছাড়াও যাঁরা জামিন পেয়েছেন, তাঁরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
আজ সকালে ড. ইউনূসসহ আটজন আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বেলা ২টার পরে শুনানি হয়। ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে মোশারফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। ওই দিন মামলার অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা ও আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি হবে।
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলার ধার্য তারিখ রয়েছে আজ। এই মামলায় দুদক আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে গত ৩০ জানুয়ারি।
অভিযোগপত্রে ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক পারভীন মাহমুদ আগেই জামিন পেয়েছিলেন। চার্জশিট হওয়ায় আজ তিনি নতুন করে আবার জামিন নিলেন। এখনো ছয়জন আদালতে হাজির হননি।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে তহবিল থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির সঙ্গে তদন্তে পাওয়া নতুন আরও একজনের নাম যুক্ত করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ড. ইউনূস ছাড়াও মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।