নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসলাইনে বসানো কম্প্রেসর বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদেরকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার ডহরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন—ডহরগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়া (৪০), তাঁর স্ত্রী সেলি বেগম (৩৫), ছেলে সোহেল মিয়া (২০) ও ইসমাইল হোসেন (১১), মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) ও পুত্রবধূ মুন্নি খাতুন (১৮)।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম বলেন, দগ্ধদের মধ্যে বাবুলের শরীরের ৬৬ শতাংশ, সোহেলের ৭০, ইসমাইলের ৫৫, তাসলিমার ৬৩, সেলি বেগমের ৩০ ও মুন্নির শরীরের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক বলেন, বাবুল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী কাজ করেন স্থানীয় একটি তৈরি পোশাক কারখানায়। তাঁরা একই বাসায় পাশাপাশি কক্ষে থাকতেন। এনামুলের ঘরে গ্যাসের লাইন থাকলেও বাবুলের ঘরে গ্যাসের লাইন ছিল না। তিনি এনামুলের ঘর থেকে গ্যাসের লাইন নিজ ঘরে এনেছিলেন। আর এই লাইনে কম্প্রেসর বসিয়েছিলেন বাবুল।
এনামুল হক বলেন, শুক্রবার রাতে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন বাবুল ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বাবুলের ঘরে থাকা গ্যাসের কম্প্রেসর বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে ছয়জন দগ্ধ হন।