Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলা: মাদকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ আদালতের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলা: মাদকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ আদালতের

স্বপ্না আক্তার নামে এক নারীকে এক হাজার পিচ ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলা করায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসেন এই নির্দেশ দেন।

আজ সোমবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (উত্তর) প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই মামলা দায়ের করে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে মাদকদ্রব্য কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিদর্শক রোকেয়া আক্তার, সহকারী উপপরিদর্শক মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ও রুবেল হোসেন, সিপাহি শরিফুল ইসলামসহ তিনজন পুলিশ ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত রেইডিং টিমের সহযোগিতায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্বপ্না আক্তারের খিলক্ষেতের বাসায় তল্লাশি চালায়।

মামলার বাদী সাজ্জাদ হোসেন উপপরিদর্শক রোকেয়া আক্তারের মাধ্যমে আসামির দেহ ও শয়নকক্ষ তল্লাশি করে পাঁচটি স্লিপারযুক্ত পলিপ্যাকেটে রক্ষিত অ্যামফিটামিন যুক্ত মোট এক হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করেন ও সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন।

এই অভিযোগে উপপরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন খিলক্ষেত থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে স্বপ্না আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুর রহমান। তিনি সম্প্রতি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন, সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত হয়েছেন যে স্বপ্না আক্তারের কাছ থেকে কোনো ইয়াবা উদ্ধার হয়নি। সাক্ষীরা জবানবন্দিতে ঘটনার কিছুই জানেন না বলে লিখিতভাবে জানান। তাই তদন্ত কর্মকর্তা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুর রহমান স্বপ্না আক্তারকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।

তদন্ত কর্মকর্তার এই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় এবং আদালতের পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে অধিদপ্তরের পাঁচজন স্টাফ ও দুজন পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালিত হয়নি।

কথিত ঘটনাস্থলে উপপরিদর্শক রোকেয়া আক্তারের মাধ্যমে আসামি স্বপ্না আক্তারের দেহ ও তাঁর কক্ষ তল্লাশি হয়নি এবং টিমে কোনো নারী সদস্য ছিল না। ওই সময়ে স্বপ্না পার্শ্ববর্তী বাসায় টিউশনি করাচ্ছিলেন। সঙ্গীয় ফোর্স, জব্দ তালিকার সাক্ষী বা প্রত্যক্ষদর্শী অন্য কোনো সাক্ষীর উপস্থিতিতে আসামির দেহ হতে বা ওয়ার্ডরোবের ভেতর থেকে কোনো ইয়াবা উদ্ধার হয়নি। কথিত জব্দ তালিকার সাক্ষীদের সামনে ইয়াবা গণনা বা ওজন করা হয়নি এবং ঘটনাস্থলে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। তাই আসামি স্বপ্না আক্তারের কাছ থেকে কোনো ইয়াবা উদ্ধার হয়নি এবং স্বপ্না আক্তার ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত নন।

এসব কারণ দেখিয়ে স্বপ্না আক্তারকে আদালত মামলা থেকে অব্যাহতি দেন এবং মামলার বাদী মাদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার নির্দেশ দেন।

জনবলসংকটে অলস আইসিইউ

বাহারি খাবারে সেজেছে বেইলি রোডের ইফতার বাজার

দক্ষিণখানে ওভারটাইমের টাকা কম দেওয়ায় নিপা গার্মেন্টসে ভাঙচুর, আহত ৬

খারাপ প্রকৃতির মানুষকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান

হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

জোরপূর্বক মানুষের ফসলি জমি কেটে মাছের খামার তৈরি, যুবদল নেতা আটক

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্যসহ ৪ শিক্ষকের নামে মামলা

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: বিক্ষোভের মুখে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত

নারীর প্রতি সহিংসতা-নিপীড়নের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন