পশুর চামড়া সংগ্রহের সবচেয়ে বড় মৌসুম কোরবানির ঈদ। এ সময় মোট চামড়ার শতকরা ৮০ ভাগ সংগৃহীত হয়ে থাকে। চামড়ার দাম অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় দেশের অন্যতম এ রপ্তানি পণ্যটি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গত রোববার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়া চামড়ার হাটে পাঁচটি ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে এসেছিলেন মধুপুর উপজেলার মোটেরবাজার গ্রামের মুজিবুর রহমান (৫৫)। অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি এসেছিলেন হাটে। মুজিবুর জানান, পাইকাররা তাঁর চামড়ার দাম বলেছেন ১০০ টাকা। তিনি চামড়াগুলো কিনেছেন ১০০ টাকা দিয়ে। লবণে খরচ হয়েছে ৩০ টাকা। বাড়ি থেকে আনতে অটোরিকশা ভাড়া লেগেছে ২৫ টাকা। এখন খাজনা দিতে হবে ৪০ টাকা।
মুজিবুর বলেন, ‘তাহলে হিসাবটা কী দাঁড়াল? আমি ১৯৫ টাকা বিনিয়োগ করে ১০০ টাকা পেলাম। ভাঙা হাত নিয়ে অনেক কষ্ট করে হাটে এসেছিলাম। এখন মনটাও ভেঙে গেল।পাকুটিয়া গ্রামের আইনজীবী বিষ্ণুপ্রিয় দ্বীপ বলেন, মুজিবুরের ঘটনার মধ্য দিয়ে এ সময়ের চামড়া ব্যবসার চরম দুর্দিনের চিত্রটি দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।