হোম > সারা দেশ > ঢাকা

কিসের ভিত্তিতে ফিটনেস সার্টিফিকেট, প্রশ্ন মানবাধিকার কমিশনের   

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি আহতদের সঙ্গে দেখা করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। আজ সোমবার সকালে তিনি আহতদের দেখতে যান এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। বর্তমানে হাসপাতালটির আইসিইউতে ৪ জন রয়েছেন। এদের ৩ জনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। 

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, ‘ভালো লাগল যে, এত কিছুর মধ্যেও মানুষের মুখে হাসি আছে ৷ এটাতে বোঝা যায় এখানের ডাক্তার, নার্সরা যথাযথ চিকিৎসা দিচ্ছেন। রোগী এবং রোগীর স্বজনরা সবাই সন্তুষ্ট। এটার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি সরকারের দিক থেকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার যে উদ্যোগ, যেভাবে তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে, সেটি সন্তোষজনক।’ 

যাদের গাফিলতির কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাদের গাফিলতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটল, যারা অবহেলা করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা কেন ছিল না, কেন সেটা করতে পারল না, তা তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে বলে আমরা মনে করি। যাদের গাফিলতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’ 

নাছিমা বেগম আরও বলেন, কমিশন আরও মনে করে, যেখানে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য জনগণ চলাচল করে, সে ধরনের গণপরিবহনে যাতে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে এবং প্রশিক্ষিত জনবল থাকে। শুধু নির্বাপণের ব্যবস্থা থাকলেই হবে না। কীভাবে নির্বাপণ করতে হয়, সেটাও জানতে হবে। 

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘যারা ফিটনেস সার্টিফিকেট দিই, কিসের ওপর ভিত্তি করে ফিটনেস সার্টিফিকেট দিই? বছরের পর বছর শুধু দিয়ে গেলেই হবে না, সেই যানবাহন চলার উপযোগী কি না, ইঞ্জিনগুলো সচল আছে কি না, ঠিকঠাক কাজ করছে কি না, তা দেখতে হবে। অগ্নি নির্বাপণের যে যন্ত্রপাতি আছে সেগুলো সঠিক সময়ে পরিবর্তন করা হচ্ছে কি না, মেয়াদ ঠিক আছে কি না— সেগুলো দেখার জন্য প্রতিটি জায়গায় কর্তৃপক্ষ আছে। তাদের ঠিকঠাক কাজ করতে হবে। আর যেন আমাদের জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে না আসে।’ 

সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, ‘বর্তমানে ৪ জন আইসিইউতে আছেন। এদের মধ্যে তিনজনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। বাকি যারা আছে, তাদের কেউই শঙ্কামুক্ত না। সবাইকেই আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা  যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’ 

সামন্তলাল আরও বলেন, ‘গতকাল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সঙ্গে আমরা একটি জুম মিটিং করেছিলাম। সেখানে আমাদের যারা চিকিৎসক গেছে, সেখানে প্রায় ১৮ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা মোটামুটি ভালো আছে। বাকি যারা আছে, তাদেরও বলেছি ওখানে রেখে চিকিৎসা করার জন্য। যদি প্রয়োজন হয় আমরা তখন নিয়ে আসব। তবে আমরা যে টিমটা পাঠিয়েছি তারা সেখানে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’

 

রাজধানীর হাতিরঝিলে দুই শিশুর মৃত্যু ও মা-বাবার অসুস্থতা ঘিরে রহস্য

রাজধানীতে মধ্যরাতে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, বাসের ধাক্কায় ছিনতাইকারী সংকটাপন্ন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের নিয়ে ব্রাইটার টুমরোর আনন্দ ভ্রমণ, শীতবস্ত্র উপহার

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালের স্ত্রীসহ তিনজন ফের রিমান্ডে

র‍্যাকের সভাপতি শাফি, সাধারণ সম্পাদক তাবারুল

রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক আনিস আলমগীর

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম ইনকিলাব মঞ্চের

উত্তরায় ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু, মা-ভাইসহ আহত ৩

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি