নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকায় মায়া ইসলাম নামে এক নারী গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শিল্পপতি সাইদুর রহমান রিন্টুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন। বিকেলে সাইদুর রহমান রিন্টুকে আদালতে হাজির করে খিলগাঁও থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই মাহদী হাসান তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। রিন্টুর পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত রোববার রাতে খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে সাইদুর রহমান রিন্টুকে আটক করে পুলিশ। এরপর এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে বনশ্রী জি-ব্লকের ৫ নম্বর রোডে ছাত্র-জনতা কোটা সংস্কারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। এ সময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর ধারালো অস্ত্র, দা, চাপাতি ও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, তাঁতী লীগ ও তাঁদের অন্য অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ছোড়া গুলিতে জি-ব্লকের ৫ নম্বর রোডের ৫৬ নম্বর বাড়ির সিঁড়িতে গুলিবিদ্ধ হন মায়া ইসলাম। এরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৮৭ জনকে আসামি করা হয়।