ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার না হলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ইজারাদারকে তাঁদের দায়িত্বে ১২ ঘণ্টার মধ্যে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। পশুর হাটের বর্জ্য পরিষ্কার না হলে ইজারাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তাঁদের জমাকৃত অর্থ বাজেয়াপ্তও করা হতে পারে।’
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর আফতাবনগর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএনসিসির মেয়র।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করার সকল প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। দশ হাজার কর্মী কাজ করবে। ছয়শ যানবাহন, পচনশীল পলি ব্যাগ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন রয়েছে। সকলের সহযোগিতায় কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে।’
হাট পরিদর্শনে এসে শুরুতেই মেয়র আতিকুল ইসলাম পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সবাইকে মাস্ক পরে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে প্রবেশ করার আহ্বান করেন তিনি। মেয়র বলেন, ‘মাস্ক আমার সুরক্ষা, সবার এটি মানতে হবে সবাইকে। ডিএনসিসির প্রতিটি হাটে ১০০ জন করে মোট ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনাসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছে।’
পশুর হাট পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক প্রমুখ।