কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
পোস্তগোলা সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। সেতুটি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যান চলাচল। এতে সেতুর প্রধান বিকল্প পথ হিসেবে যানবাহনগুলো ব্যবহার করছে দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু বা বাবুবাজার সেতু। ফলে সেতুটি পারাপার হতে কোনো কোনো যানবাহনের সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা।
আজ শনিবার ভোর থেকে শুরু হয় যানজট। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজটও বাড়তে থাকে। পরে তা ছড়িয়ে পরে আশপাশের শাখা সড়কে।
কেরানীগঞ্জ-মিরপুরগামী দিশারী পরিবহনের চালক মো. ইব্রাহিম জানান, তিনি সকাল সাড়ে ৮টায় তার বাসে যাত্রী বোঝাই করে মিরপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলে বেলা পৌনে ১১টায় তিনি বাবুবাজার সেতু পাড় হয়ে নয়াবাজার পৌঁছান। অর্থাৎ প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তার সময় লেগেছে ২ ঘণ্টার বেশি সময়।
গুলিস্তানগামী লেগুনার যাত্রী কাশেম বলেন, ‘বেলা ১০টায় লেগুনায় উঠেছি। ১১টায় বাবুবাজার সেতুর মাঝখানে এসে ভাড়া দিয়ে নেমে গেছি। বাকি পথটুকু হেঁটেই যাব।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১২টার দিকে যানজট ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ঝিলমিল এলাকা থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর গুলিস্থান গিয়ে শেষ হয়েছে। যানজট নিরসনে বাবুবাজার সেতুর ঢাকা অংশে ট্রাফিক লালবাগ ও কোতোয়ালি ট্রাফিক জোনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কেরানীগঞ্জ প্রান্তে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু এরপরও বাড়তি যানবাহনের চাপে নাকাল সেতু। অসহনীয় যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় ভোগান্তিতে সময় পার করতে হয় যাত্রীদের। যানজট নিরসনে বাবুবাজার সেতুতে সব ধরনের পায়ে চালিত রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা, ঠ্যালাভ্যান, থ্রি-হুইলার, সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক জাকির হোসেন বলেন, সকাল থেকে যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। ৮ মার্চ পর্যন্ত পোস্তগোলা সেতুর সংস্কার কাজ চলবে। তাই বাবুবাজার সেতুর দুই পাশেই বাড়তি ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব ধরনের রিকশা-ভ্যান এ পথে আপাতত চলাচল নিষেধ এবং জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করা হচ্ছে।