নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজের সাতজন শ্রমিক হত্যার ঘটনায় বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন। শীতলক্ষ্যার তীরে জাহাজ নোঙর করে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, সাতজন শ্রমিক হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণ, নৌপথে ডাকাতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার মাস্টার বলেন, ‘আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান কর্তৃক সারবোঝাই পণ্যবাহী এমভি আল বাখেরা জাহাজের আটজন স্টাফকে যেভাবে কোপানো হয়েছে এবং বিশাল একটি জাহাজ একাই চালিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে, তাতে মনে হয় এটা তাঁর একার কাজ হতে পারে না। আমরা এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনসহ এর সঙ্গে আর করা জড়িত, তা বের করার দাবি করছি।’
সবুজ শিকদার মাস্টার আরও বলেন, ‘আমরা সারা দেশে হাজার হাজার পণ্যবাহী নৌযান ও কয়েক লাখ শ্রমিকের নিরাপত্তাও দাবি করছি। যারা ওই জাহাজে হতাহতের শিকার হয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণও দাবি করছি। নৌপথের শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা দিতে হবে। সকল শ্রমিককে গেজেট অনুযায়ী বকেয়া বেতন ও পাওনা পরিশোধ করতে হবে।’
বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতিসহ পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। আগামীকালের মধ্যে প্রকৃত দোষীরা গ্রেপ্তার না হলে লঞ্চ শ্রমিকেরাও এই কর্মবিরতিতে যুক্ত হবে।’
এদিকে শ্রমিকেরা বলেন, ওই ঘটনার পর চাঁদপুর নৌপথে সব ধরনের নৌ শ্রমিকেরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।’