মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পদ্মার শাখা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে আজ রোববার সকাল থেকে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ড। এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার পরপরই দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ দুজন হলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখাননগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হারুন অর-রশীদ (৫৫) এবং রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার মাহফুজুর রহমান (৩৫)।
নিখোঁজ দুজনের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, হারুন অর-রশীদ পদ্মা নদীসংলগ্ন চরে আলু আবাদের কাজে এসেছিলেন। আর মাহফুজুর রহমান হাসাইল গ্রামে ঢাকা থেকে বেড়াতে এসে ঘুরতে বের হয়েছিলেন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় খেয়া পারাপারের ওই ট্রলারটি নদীর অপর প্রান্তের পদ্মার চর থেকে হাসাইল বাজারে আসার পথে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। ট্রলারে অন্তত ৪০ জন যাত্রী ছিল। হাসাইল এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে নৌকাডুবির পরপরই দুজনের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বাল্কহেডটি রেখেই পালিয়ে যান চালক ও স্টাফরা। পরে বাল্কহেডটি টঙ্গিবাড়ী থানার পুলিশ জব্দ করে।
টঙ্গিবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা আতিকুর রহমান বলেন, আজ রোববার ভোর থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনেরা দাবি করছেন। সকালে ডুবে যাওয়া ট্রলারে কাছাকাছি স্থান থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চর আব্দুল্লাহপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মো. হাসনাত জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা গতকাল রাতে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিই। সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল রয়েছে। দুজনের লাশ গতকাল রাতেই উদ্ধার হয়েছে। ট্রলারটি ডুবুরি দলের মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।’