নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসীতে অবস্থিত গাজী টায়ার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এল। তবে ভেতরে কতজন আটকা আছেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে স্বজনদের বরাতে ১৬০ জন নিখোঁজের কথা বলা হলেও পরে সে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়।
আজ সোমবার বিকেলে নিখোঁজদের স্বজনদের বরাতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ১৬০ জন নিখোঁজের তালিকা করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যায় নিখোঁজদের তালিকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কোনো তালিকা করিনি, এটা প্রশাসনের দায়িত্ব। আপনাদের কাছে কীভাবে তথ্য গেল সেটা জানা নেই। যাঁদের আপনারা লিখতে দেখেছেন, তাঁদের কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেন।’
এদিকে ঘটনাস্থলে অসংখ্য মানুষ অবস্থান করছেন। তাঁরা দাবি করছেন, ভেতরে তাঁদের স্বজনেরা আটকা আছেন।
রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের প্রধান ও একমাত্র টার্গেট আগুন নেভানো। ভেতরে প্রবেশের পরে আমরা বুঝতে পারব আদৌও কেউ মারা গেছে কি না। যদি কেউ মারা যায়, তাঁদের মরদেহ উদ্ধারে আমাদের অভিযান চলবে।’
এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে গাজী গ্রুপের মালিক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীকে আদালতে তোলার খবর এলেই একদল দুর্বৃত্ত গাজীর টায়ার কারখানায় হামলা চালায় এবং লুটপাট শুরু করে।
লুটপাটের একপর্যায়ে এক পক্ষকে ভেতরে রেখে আরেক পক্ষ আগুন ধরিয়ে দেয় বলে দাবি করছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।