শরিফুল ইসলাম তনয়, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এখনো পশুর হাট না বসলেও পছন্দের গরু কিনতে বিভিন্ন খামারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে খামারে লালনপালন করা গরুগুলোর বিভিন্ন আকর্ষণীয় নাম দিচ্ছেন খামারমালিকেরা।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা গোদনাইল এলাকার আর কে এগ্রো ফার্মের দুটো গরুর নাম যেমন রাখা হয়েছে শাকিব খান এবং জায়েদ খান। গরু দুটিকে দেখতে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন। সেই সঙ্গে অনেকেই ছবি তুলছেন, ধারণ করছেন ভিডিও। গতকাল শনিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের আর কে এগ্রো ফার্মে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।
সাড়ে তিন বছরের শাহীওয়াল ব্রামা জাতের ২৫ মণ ওজনের শাকিব খানের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। সাদা ও ধূসর রঙের গরুটি উচ্চতায় ৫ ফুট। আর একই বয়সী শাহীওয়াল জাতের লাল রঙের জায়েদ খানের দাম হাঁকা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। এর ওজন সাড়ে ২২ মণ। প্রতিদিন গরু দুটির খাদ্যতালিকায় রয়েছে গমের ভুসি, ছোলা ভাঙা, ভুট্টা ভাঙা, খৈল, কাঁচা ঘাস প্রভৃতি।
গরু দুটির এমন নামকরণের বিষয়ে আর কে এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমরা আদর করে যে গরুটির নাম শাকিব খান রেখেছি, সেটি দেখতে অনেক সুন্দর। ছোট অবস্থা থেকেই আমরা গরুটি লালনপালন করেছি। তখন থেকেই গরুটিকে সবাই ভালোবাসে। গরুটি রাজার মতোই হেঁটে থাকে। ওর মধ্যে সব সময় কিং খানের মতোন একটা ভাব থাকে। আমাদের ভালোবাসার ও পছন্দের নায়ক শাকিব খান। তাই এই গরুর নাম শাকিব খান রেখেছি।’
খামারের বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদুল আজহার অনেক দিন বাকি থাকলেও এখন থেকেই ক্রেতারা কোরবানির পশু কিনে খামারে রেখে দিচ্ছেন। বিক্রি হওয়া এই পশুগুলো ক্রেতাদের ইচ্ছামতো সময়ে ডেলিভারি দেওয়া হবে। কোরবানির পশু কিনতে ও দেখতে প্রতিদিন শত শত ক্রেতা-দর্শনার্থী খামারটিতে ভিড় করছেন। আমরা সব সময় সুস্থ ও কোরবানির জন্য উপযোগী পশু ফার্মে বিক্রি করে থাকি।