নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসরিন আক্তার হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। অনৈতিক সম্পর্কের জেরে ব্ল্যাকমেল করায় তাঁকে হত্যা করা হয়। গতকাল রোববার গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামলার প্রধান আসামি কমল ওরফে কুদ্দুস (৩৩) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘নাসরিন হত্যার বিষয়টি সূত্রহীন ছিল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিজের এলাকা কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার চিলমারীচর গ্রাম থেকে প্রধান আসামি কমলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলার অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’
পুলিশ সুপার জানান, সম্প্রতি কমল ও তাঁর বন্ধু অভির উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জের পাংখা শাহ মাজারে ওরসের গান শুনতে যান। রাতে গান শেষ হওয়ার পর নাসরিন নামের এক নারীর সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। একসঙ্গে কথাবার্তা বলার পর অর্থের বিনিময়ে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে রাজি হন নাসরিন। এরপর তাঁকে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যান কমল ও অভির। এ সময় নাসরিন মোবাইল ফোনে কথা বলবে বলে ঘরের বাইরে যান। পরে নাসরিনের সঙ্গে দুই যুবক ওই ঘরে প্রবেশ করে কমল ও অভিরকে ব্ল্যাকমেল করে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। ওই ঘটনার জন্য নাসরিনকে চক্রের সদস্য ভাবতে শুরু করেন কমল ও অভির।
ওই ঘটনার পর আবারও বাড়তি টাকা দেওয়ার কথা বলে নাসরিনকে সময় কাটাতে বলেন কমল ও অভির। রাজি হলে নাসরিনকে নিয়ে গত ১৮ মে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার সীমা ডাইংয়ের পাশে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে কমলের গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে নাসরিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁরা। এরপর লাশ মাঠে ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা। ঘটনার পরদিন সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করলে নাসরিনের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান।