গত ১০ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী জেলায় সিঙ্গাপুর প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে হয় কিশোরগঞ্জের এক তরুণীর (১৯)। বিয়ের তিন দিন পর থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন তিনি। চতুর্থ দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি বান্ধবীর সঙ্গে পালিয়ে যান তিনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা মহিপুর থানা এলাকা থেকে বান্ধবীসহ তাঁকে আটক করে পুলিশ।
ওই তরুণী স্থানীয় এক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর বান্ধবীও একই এলাকার বাসিন্দা। এদিকে ওই তরুণীকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘটনার দুদিন পর তাঁর মা জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই তরুণী সমকামিতার সম্পর্কে ছিলেন। এক সপ্তাহ আগে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বিয়ের তিন দিনের মাথায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাড়ি থেকে বের হইয়ে আর ফিয়ে আসেনি। ঘটনার দুই দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর মা বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় জিডি করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নামে। মোবাইল ফোনের আইএমই নম্বর ট্র্যাক করে তাঁদের লোকেশন শনাক্ত করে। পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা মহিপুর থানা এলাকায় তার লোকেশন দেখায়।
পরে পাকুন্দিয়া আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে এসআই পুলিশ কুয়াকাটা এলাকায় যায়। সেখানে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। প্রথমে তাঁর বান্ধবীকে আটক করে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে রাবিয়া আক্তার পাখিকে উদ্ধার করে।
ইনচার্জ ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমাদের টিম কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কেউ বাদাম বিক্রেতা, কেউ রিকশাওয়ালা ও কেউবা ভ্যানচালক সেজে তাদের আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সমকামিতায় লিপ্ত থাকার কথা জানায়। দুজন-দুজনকে ভালোবাসার কথা জানান এবং তারা একত্রে সংসার করার আশা ব্যক্ত করেন। সমকামিতা বড় ধরনের অন্যায় এই কথা বুঝিয়ে বলার পর তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। এ ধরনের অপরাধ আর করবে না বলে মুচলেকা দেয়। পরে তার স্বামীসহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও খবর পড়ুন: