দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশেদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাটে ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে চাপ বাড়তে থাকে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই দুর্ভোগ।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সারি সৃষ্টি হয়েছে। তবে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো আধা ঘণ্টা অপেক্ষার পরই ফেরিতে উঠতে পারছে।
এদিকে লঞ্চঘাটেও যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিটি লঞ্চ দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ায় উপচে পড়া ভিড় নিয়েই ছেড়ে যাচ্ছে। লঞ্চ ও ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই দুর্ভোগ।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকচালক খাইরুল ইসলাম বলেন, সাড়ে ৩টার দিকে ঘাট এলাকায় এসেছি। এখন বিকেল সাড়ে ৪টা বাজে। ঘাটের কাছাকাছি চলে এসেছি। হয়তো কিছু সময়ের মধ্যে ফেরিতে উঠতে পারব।
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ঘাটে একটু যানজট আছে। তবে বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। আমি আধা ঘণ্টা ধরে অপেক্ষায় আছি। হয়তো আরও ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষার পরই ফেরিতে উঠতে পারব।
আরেক যাত্রী মাসুদ রানা বলেন, এক-দেড় কিলোমিটার যানজট, এটা কোনো বিষয় না। কারণ গত ঈদেও বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার সময় ঘাটে ৯ ঘণ্টা বসে ছিলাম। সে তুলনায় আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা বসে থাকাটা ভোগান্তির মধ্যে পড়ে না।
ঘাট এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য (টিএসআই) বিনয় কুমার বলেন, দুপুরের পর থেকে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। কিছু যাত্রীবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক সিরিয়ালে থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়িগুলো সরাসরি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই দুর্ভোগ।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা বন্দরের উপপরিচালক খালেদ নেওয়াজ বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তবে কোনো ভোগান্তি নেই।