ঢামেক প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় দুই ভাইয়ের পর বোন তাসলিমা আক্তারও (৯) মারা গেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে মৃত্যু হয় ভাই ইসমাইলের (১১) এবং সকাল ৯টার দিকে মারা যান আরেক ভাই সোহেল মিয়া (২০)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তরিকুল ইসলাম বলেন, রূপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে তাসলিমা নামে আরও একজন মারা গেছে। তার শরীরের ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। সকালে সোহেল ৭০ শতাংশ ও ইসমাইল ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা গেছে।
বর্তমানে মৃতদের বাবা বাবুল ৬৬ শতাংশ, মা সেলি বেগম ৩০ শতাংশ ও সোহেলের স্ত্রী মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
গত ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ১১টার দিকে রূপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
দগ্ধ বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসায় নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। বাবুল রাজ মিস্ত্রির করেন। স্ত্রী সেলি এনজেড নামে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহিণী। ইসমাইল ও তাসলিমা বাসাতেই থাকত।
তিনি বলেন, তাঁরা ওই বাসার পাশাপাশি রুমে ছিল। বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেসর মেশিন আছে। রাতে তারা খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ কম্প্রেসর মেশিন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। তবে কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।