নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকার প্রবেশপথে যাত্রা করা বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের মোবাইল ফোন তল্লাশি করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের খুঁজছে পুলিশ সদস্যরা। কারও মোবাইলের গ্যালারি কিংবা ফেসবুক প্রোফাইলে বিএনপিসংশ্লিষ্ট কিছু পাওয়া গেলে বাড়তি জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, মাতুয়াইল ও সুলতানা কামাল সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে এমন চিত্র দেখা যায়।
চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন বাসে উঠে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন চেয়ে লক খুলে নেন। এরপর মোবাইল ফোনের গ্যালারি ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চেক করেন। বিএনপিসংশ্লিষ্ট কিছু না পেলে সহজেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে সাধারণ যাত্রীদের অনেকেই পুলিশের কাছে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনের গ্যালারি খুলতে বাধ্য হওয়ায় বিব্রতবোধ করছেন।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিয়ের দাওয়াতে আসা একটি মাইক্রোবাস থামায় রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ। সুলতানা কামাল সেতুর পূর্ব প্রান্তে থামিয়ে তল্লাশিকালে যাত্রীদের একজনের ফোনে বিএনপিসংশ্লিষ্টতা মেলে। তবে তিনি দাবি করেন, সমাবেশে যোগ দিতে নয়, বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছেন তিনি। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা তিনিসহ অন্য যাত্রীদের চেকপোস্টে বসিয়ে রেখে পরে গাড়ির নম্বর নোট রেখে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
গাড়ির আরেক যাত্রী বলেন, ‘পুলিশ চেক করছে। কী আর বলার আছে! তারা যা বলবে, তা-ই শুনতে হবে। অযথা বিপদ বাড়াতে চাই না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়মিত তল্লাশির অংশ হিসেবে আমাদের চেকিং কার্যক্রম চলছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা কাজ করছি। সড়কে যানবাহনের চাপ কমে এলে চেকিং কার্যক্রমও শিথিল হবে।’