রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালিয়েছে তিতাস। এ সময় হাউজিংয়ের প্রধান সড়কের মাটির নিচে থাকা গ্যাসের লাইন অপসারণ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম।
উচ্ছেদ অভিযানের সময়ে স্থানীয়রা দাবি করেন, নবীনগর হাউজিংয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিতাসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধ লাইন চলে। লাইন কাটার পরে আবার টাকার বিনিময়ে সংযোগ দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নবীনগর হাউজিংয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মাটির নিচে থাকা লাইন ওঠানোর কাজ করা হচ্ছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করায় দুজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠান ও একটি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক পক্ষকে জরিমানা করা হয়েছে।
তিতাসের সহযোগিতা ছাড়া টাকার বিনিময়ে অবৈধ সংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিতাসের ঢাকা মেট্রো বিতরণ জোন-(১০ ও ১১) এর উপপরিচালক বলেন, তিতাস গ্যাস অনুমোদন দেওয়ার পরে ঠিকাদারের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে বর্তমানে বৈধ গ্যাসের সংযোগ নেওয়ার উপায় নেই। আমরা আজ পর্যন্ত জানতে পারছি না কারা অবৈধ সংযোগ দেয়। আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিব। যারা অবৈধ সংযোগ দিচ্ছে তাদের নাম পেলে আমরা মামলা করব।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার পর লাইন লাগানো হয়। পুলিশ ও তিতাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গ্যাসের সংযোগ লাগানো হয়। হাউজিং মালিক সমিতির কয়েকজন প্রতি বাড়ি থেকে ৫ হাজার করে টাকা নেয়। আর এই অভিযোগের তীর নবীনগর হাউজিং মালিক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলামের দিকে। অবৈধ গ্যাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আর মালিক সমিতিতে আমি সভাপতি না তিন নম্বর সাধারণ সম্পাদক।