মাদারীপুরে ঘরের মধ্যে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ রেখে স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন পালানোর খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে পাঠায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের এওজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, এওজ গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে মাসুদ সরদারের সঙ্গে দুই বছর আগে একই গ্রামের সোবাহান কবিরাজের মেয়ে লিয়া আক্তার মনির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতেই স্বামী মাসুদ ও তাঁর পরিবারের লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনভাবে করে আসছিল। এ নিয়ে কয়েক দফা পারিবারিকভাবে সালিসও হয়।
নিহতের বাবা সোবাহান কবিরাজ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরেও যৌতুকের টাকার জন্য মাসুদ ও তাঁর পরিবার আমার মেয়ে মনিকে চাপ দেন। টাকা আনতে অস্বীকার করলে তারা আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। পরে মরদেহ ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে সবাই পালিয়ে যায়।’
সোবাহান কবিরাজ আরও বলেন, ‘স্থানীয়রা ঘরের জানালা দিয়ে মরদেহ ঝুলতে দেখে আমাদের ও পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মাসুদ ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।