রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির বিরুদ্ধে সম্মানীর নামে অর্থ লোপাটের অভিযোগ তদন্তে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২ জুন মাউশি মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে পাঠানো অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম।
এতে বলা হয়, রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণে সম্মানীর নামে অর্থ লোপাটের অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হককে ফোন কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
গত ১২ মে আজকের পত্রিকায় ‘সম্মানীর নামে অর্থ লোপাট’ শীর্ষক শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ১৮ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১২ হাজার টাকা। একইভাবে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নামীদামি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যরাও সম্মানী বাবদ পান ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘ইচ্ছেমতো’ সম্মানী নেওয়ার এ চিত্র রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্মানী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। সম্মানী নির্ধারণ এবং নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের ইচ্ছাই মুখ্য। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেও অতিরিক্ত সম্মানী নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা। এতে বছর শেষে তাঁদের সম্মানী বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ চলে যায় প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে।