মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেন।
তিন আসামি হলেন ইশতিয়াক আহমেদ, ইমরান হোসেন ও রাকিবুর রহমান রাকিব। ইশতিয়াককে তিন দিনের রিমান্ড শেষে এবং অন্য দুজনকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একই সঙ্গে তাঁদের কারাগারে আটক রাখার প্রার্থনা জানান। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত ১৬ জুন ইশতিয়াককে ও ১৭ জুন ইমরান ও রাকিবকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বর্তমানে এই মামলায় শুটার মুসাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সবাইকে শুটার মুসার মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এরই মধ্যে এই মামলায় গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন ওরফে মানিক, ওমর ফারুক ও মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশকেও কারাগার থেকে রিমান্ডে নিয়ে শুটার মুসার মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত ১৩ জুন তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পর দিন ২৫ মার্চ দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।